উইকিভ্রমণ থেকে

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

সড়কপথ[সম্পাদনা]

মহাস্থানগড় যেতে হলে শুরুতেই আপনাকে যেতে হবে বগুড়ায়। বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ের দূরত্ব প্রায় ৯ কিঃ মিঃ। বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ে বাস বা সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাওয়া যায়। বগুড়া চারমাথা ও হাড্ডি পট্টি থেকে সেখানে মহাস্থানগড় যাওয়ার বাস পাওয়া যায় এবং সিএনজি অটোরিকশা চারমাথা, দত্তবাড়ি ও মাটিডালি থেকে পাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা থেকে রংপুর বা গাইবান্ধাগামী বাসে এসে সরাসরি মহাস্থানগড়ে নামা যায়।

দেখুন[সম্পাদনা]

মানচিত্র
মহাস্থানগড়ের মানচিত্র

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে মহাস্থানগড়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

  • মাজার শরীফঅনেক ঐতিহাসিক এবং স্থানীয় লোকের মতে এটি হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:)এর মাজার। মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছুটা পশ্চিমে এ মাজার শরীফ অবস্থিত। শাহ সুলাতান বলখী (র:) ১৪শ শতাব্দির একজন ইসলাম ধর্ম প্রচারক ছিলেন। কথিত আছে মাছ আকৃতির নৌকাতে করে তিনি তার শীষ্যদের নিয়ে বরেন্দ্র ভূমিতে আসেন। সেখান থেকে তার নাম এসেছে মাহিসাওয়ার (মাছের পিঠে করে আগমণকারী) এবং তিনি বল্লখ রাজ্যের রাজার পুত্র ছিলেন বিধায় তাকে শাহ সুলতান বলখী ও বলা হয়। ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আওরঙ্গজেব সৈয়দ রেজা, সৈয়দ তাহির, সৈয়দ আব্দুর রাহ্মান (তিন ভাই) কে এই মাজারকে জামিনদার দেখাশোনার দায়িত্ব প্রদান করেন। স্থানীয় লোকজন শাহ সুলতান মাহিসওয়ারকে খুব শ্রদ্ধা করে। ধর্মপ্রান হাজারো মুসলমান তাদের নানা সমস্যার সমাধান ও মানত করতে এই মাজারে আসেন।
  • জাদুঘরবগুড়া থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তরে এবং মহাস্থানগড় থেকে সামান্য উত্তরে গোবিন্দ ভিটার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে। প্রথম দিকে ৩ একর জায়গার উপর জাদুঘরের মূল অংশটি থাকলেও নানা সময়ে সম্প্রসারিত হয়ে বর্তমানে এর পরিধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ একরে। মহাস্থান গড় খননের ফলে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন ও অন্যান্য রাজবংশের হাজার বছরের পুরানো অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন সোনা, রুপা, লোহা, ব্রোঞ্জ, পাথর, কাঁসাসহ বিভিন্ন মূল্যবান ধাতব পদার্থ, পোড়ামাটির তৈরি মূর্তি, কালো পাথরের মূর্তি, বেলে পাথরের মূর্তি, মাটি দিয়ে তৈরি খোদাই করা ইট, স্বর্ণবস্তু, বিভিন্ন শিলালিপি, আত্মরক্ষার জন্য ধারালো অস্ত্র, নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজসপত্র ও নানা ধরনের প্রাচীন অলংকারসহ ইত্যাদি সামগ্রী পাওয়া গেছে যা গড়ের উত্তরে অবস্থিত জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। মহাস্থানগড় ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এখানে সংরক্ষিত আছে।
  • খোদার পাথর ভিটাখোদার পাথর ভিটা মাজারের পূর্বে পাহারে অবস্থিত। আয়তাকার এই বৌদ্ধ মন্দিরটি ছিল পূর্বাভিমুখী। এটি দীর্ঘাকার এবং চৌকাণাকৃতির মর্সণ পাথর যা সাধারণত প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, রাজা পরশুরাম এটি সংগ্রহ করে মসৃণ করে বলী দেয়ার কাজে ব্যবহার করতেন। হিন্দু রমণীগণ এ পাথর দুধ ও সিঁদুর দিয়ে স্নান করাতো। এখনো কেউ কেউ নগ্ন পায়ে এই চৌকাঠটিতে দুধ ঢেলে ভক্তি নিবেদন করেন। এই ভিটার ধ্বংসাবশেষ পাল শাসনামলের প্রথম দিকের (আনুমানিক খ্রিস্টীয় আট শতক) বলে জানা গেছে। ১৯৭০ সালে এ ঢিবি বা ভিটাতে খননকার্য করে একটি মন্দির এবং তার সাথে ছোটখাটো কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই ঢিবির উপরিভাগে গ্রানাইট পাথরের একটি বিশাল চৌকাঠ পাওয়া যায় এবং এ থেকেই স্থানীয় জনগণ ঢিবির এমন অদ্ভুত নামকরণ করেছে। এখানে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত খোদাইকৃত প্রস্তর খন্ডগুলির মধ্যে একই সারিতে আসীন অবস্থায় তিনটি বৌদ্ধমূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। যা বর্তমানে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এখনও মাটির নিচে চাপা পড়া অবস্থায় আছে প্রত্নস্থলটির কাঠামোর ধংসাবশেষ। শুধু বিশাল চৌকাঠটি এখানে দেখা যায়।
  • মানকালীর ঢিবিআজীবক ধর্ম প্রচারক মোক্ষালি গোসালের নির্মিত হয় এই মন্দির। এটি মহাস্থানগড়ের মজা পুকুরের পূর্ব পারে অবস্থিত। ১৯৬৫-৬৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে এখানে খননকাজ শরু হয় ও শেষ পর্যন্ত সুলতানী আমলের একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষসহ বেশ কিছু ছোট ছোট প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু আবিষ্কার করা হয়। মসজিদটির আয়তন ২৬.২১ থেকে ১৪.৫৪ মিটার। খনন কাজ চলার সময় মসজিদের নিচে একটি মন্দিরেরও কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। মসজিদটিতে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি তবে মসজিদের অবকাঠামো দেখে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন এটি খুব সম্ভবত মুঘল আমলের পূর্বেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিংবদন্তি অনুসারে, এই স্থানে প্রথমে একটি মন্দির নির্মাণ করেন রাজা মানসিংহ ও তার ভাই তানসিংহ। অন্যান্য কিংবদন্তি অনুসারে, এখানে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন ঘোড়াঘাটের জমিদারগণ। এছাড়াও এখানে পাওয়া জৈন প্রতিমা দেখে অনেকেই মনে করেন পূর্বে জৈন ধর্মগুরুদের আবাসস্থল ছিলো স্থানটি।
  • বৈরাগীর ভিটামহাস্থানগড় এর উত্তর-পূর্ব কোনে রাজা পরশুরামের বাড়ি হতে প্রায় ২০০ গজ দূরে অবস্থিত। এই স্তূপটির আয়তন ৩০০*২৫০ ফুট।
  • স্কন্ধের ধাপএটি একটি মন্দিরের ধংসাবসেশ। মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে পাকা সড়কের প্রায় ৫০ মিটার পুবে একটি জলাশয়ের পাশে এই ধাপ অবস্থিত। খ্রিষ্টীয় সাত শতকে কলহন নামে পণ্ডিতের রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থে প্নডুনগরে একটি কার্তিকের মন্দির ছিল বলে জানা যায়। ধরনা করা হয় স্কন্দের ধাপের এই মন্দিরটি হল কার্তিকের মন্দির। উৎখনন করার কারণে ঢিবির অনেক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
  • মঙ্গলকোট স্তুপমহাস্থান গড় হতে ১ কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত।
  • ট্যাংরা বৌদ্ধ স্তুপপ্রায় ৪৫ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট এই স্তুপ ট্যাংরা নামক স্থানে অবস্থিত।
  • বিহার ধাপ (মহাস্থানগড় হতে ৬ কি:মি: উত্তর পশ্চিম অবস্থিত।)। স্তুপটি ৭০০*৬০০ ফুট আয়তন।
  • ভিমের জঙ্গলমহাস্থানগড় এর তিন দিক পরিবেশটিত এবং অসংখ্য কালোত্তীর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা সমৃদ্ধ এই ভিমের জঙ্গল।
  • কালীদহ সাগরগড়ের পশ্চিম অংশে রয়েছে ঐতিহাসিক এবং পদ্মাদেবীর বাসভবন। কালীদহ সাগর সংলগ্ন ঐতিহাসিক গড় জড়িপা নামক একটি মাটির দুর্গ রয়েছে। প্রাচীন এই কালীদহ সাগরে প্রতিবছরের মার্চ মাসে হিন্দু ধর্মালম্বীদের রারুন্নী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। স্নান শেষে পুণ্যার্থীগণ সাগরপাড়ে গঙ্গাপূজা ও সংকীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
  • শীলাদেবীর ঘাটগড়ের পূর্বপাশে রয়েছে bn:করতোয়া নদী এর তীরে ‘শীলাদেবীর ঘাট’। শীলাদেবী ছিলেন পরশুরামের বোন। এখানে প্রতি বছর হিন্দুদের স্নান হয় এবং একদিনের একটি মেলা বসে।
  • জিয়ৎ কুন্ডএই ঘাটের পশ্চিমে জিয়ৎ কুণ্ড নামে একটি বড় কুপ রয়েছে, যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কথিত আছে এই কুপের পানি পান করে পরশুরামের আহত সৈন্যরা সুস্থ হয়ে যেত। যদিও এর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
  • গোবিন্দ ভিটামহাস্থানগড় জাদুঘরের ঠিক সামনেই গোবিন্দ ভিটা অবস্থিত। গোবিন্দ ভিটা শব্দের অর্থ গোবিন্দ (হিন্দু দেবতা) তথা বিষ্ণুর আবাস। এ ভিটা একটি খননকৃত প্রত্নস্থল, ১৯২৮-২৯ সালে খনন করে গোবিন্দ ভিটায় দুর্গ প্রাসাদ এলাকার বাইরে উত্তর দিকে অবস্থিত। কিন্তু বৈষ্ণব ধর্মের কোনো নিদর্শন এ স্থানে পাওয়া যায়নি। তবুও প্রত্নস্থলটি স্থানীয়ভাবে গোবিন্দ ভিটা নামে পরিচিত।
  • পরশুরামের প্রাসাদপরশুরামের প্রাসাদ ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনীর ভিতরে যেসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয়ভাবে এটি তথাকথিত হিন্দু নৃপতি পশুরামের প্যালেস নামে পরিচিত।

একটু দূরে[সম্পাদনা]

গোকুল মেধ
  • 1 গোকুল মেধ (বেহুলার বাসর ঘর), বগুড়া থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২ কি.মি. এবং মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কি.মিবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তররের মতে আনুমানিক খৃস্টাব্দ ৭ম শতাব্দি থেকে ১২শ শতাব্দির মধ্যে এটা নির্মিত হয়। বলা হয়ে থাকে এখানে বেহুলার বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগের অনেক পূর্বেকার ঘটনা। তবে বর্তমান গবেষকদের মতে এমনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এখানে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খন্ডের সঙ্গে ষাঁড়ের প্রতিকৃতি একটি স্বর্ণ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। এ থেকে ধারণা করা হয়, এটি একটি বর্গাকৃতির শিব মন্দির ছিলো। দেশি দর্শকদের জন্য ৳২০ টাকা, বিদেশি দর্শকদের জন্য ৳২০০, সার্কভুক্ত দর্শকদের জন্য ৳১০০, মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৳০৫ টাকা; বাস/ট্রাকের জন্য পার্কিং ফি ১১৫, জিপ/কার/মাইক্রোর ৳৫৭.৫০ এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৳১১.৫০ উইকিপিডিয়ায় গোকুল মেধ (Q25588540)
  • 2 ভাসু বিহার (নরপতির ধাপ), মহাস্থানগড় হতে ৭ কি:মি: উত্তর পশ্চিমে এবং বৌদ্ধ বিহার হতে ২ কি:মি: উত্তরে বিহার নামক গ্রামে অবস্থিত। (মহাস্থানগড় বা বগুড়া শহর থেকে সিএনজি অটো রিকশা নিয়ে সহজেই ভাসুবিহার যাওয়া যায়।)। এই প্রত্নস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে পরবর্তী গুপ্তযুগের দুটি আয়তক্ষেত্রাকার বৌদ্ধবিহার এবং একটি প্রায় ক্রুশাকৃতি মন্দির উন্মোচিত হয়েছে। ছোট সংঘারামটির আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪৯ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৪৬ মিটার। এর চার বাহুতে ভিক্ষুদের ২৬টি কক্ষ রয়েছে। বড় সংঘারামটি ছোটটির মতই দেখতে তবে এর আয়তন ও কক্ষ সংখ্যা বেশি। বড় আকারের একটি খোলা অংশকে ঘিরে এসব ছোট আকারের বৌদ্ধভিক্ষুদের আবাসকক্ষ। দেখে মনে হয় খোলা বড় অংশটি ছিল মিলনায়তন। এখানে প্রায় ৮০০ প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ছিল ক্ষুদ্রাকৃতির মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক ও সিলমোহর, মূল্যবান পাথরের গুটিকা, অলংকৃত ইট ও ফলক, মাটির প্রদীপ, পাত্রের টুকরা সহ অসংখ্য প্রত্নবস্তু। ভাসু বিহারে প্রাপ্ত মূর্তির দীর্ঘ হালকা-পাতলা শরীর, ক্ষীণ কটি, প্রশস্ত বুক এবং মার্জিত অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পালযুগের ধ্রুপদি শিল্পকলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। উইকিপিডিয়ায় ভাসু বিহার (Q13059155)

খাওয়া[সম্পাদনা]

মহাস্থানগড়ের 'কটকটি' নামক চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি একধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবার পাওয়া যায়, যা খুব বিখ্যাত। মহাস্থানগড়ের মাজারের সামনে বেশ কিছু দোকানে এটি পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

বগুড়ায় রাত্রিযাপনের জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল ও মোটেল রয়েছে। পর্যটন মোটেল, নাজ গার্ডেন, নর্থওয়ে মোটেল, সেফওয়ে মোটেল, মোটেল ক্যাসল এমএইচ, সেঞ্চুরি মোটেল, হোটেল সিস্তা, হোটেল আকবরিয়া, রেডচিলিস চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট এন্ড আবাসিক হোটেল উল্লেখযোগ্য। সাধারণ মানের হোটেলের মধ্যে হোটেল আল আমিন, হোটেল রয়াল প্যালেস, হোটেল সান ভিউ, হোটেল রাজমনি, হোটেল হানি ডে, হোটেল আজিজ উল্লেখ্য।