উইকিভ্রমণ থেকে
শ্রী মায়া চন্দ্রোদয় মন্দির, মায়াপুর

নদিয়ামুর্শিদাবাদ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত দুটি জেলা।

নদিয়া হিন্দু তীর্থকেন্দ্র মায়াপুরনবদ্বীপ এবং কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জন্য পরিচিত। একদা "বাংলার অক্সফোর্ড" নামে পরিচিত নদিয়া ভারতের দর্শনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যার মধ্যে যুক্তির নব্য-ন্যায় ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এটি বৈষ্ণব উপাসক চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভূমি।

মুর্শিদাবাদ হচ্ছে নবাব আমলে বাংলার রাজধানী, এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

শহর[সম্পাদনা]

মানচিত্র
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের মানচিত্র

হাজারদুয়ারী রাজপ্রাসাদ, মুর্শিদাবাদ

নদিয়া[সম্পাদনা]

  • 4 পলাশী — সিরাজউদ্দৌলা ও ব্রিটিশদের মধ্যে সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত।

মুর্শিদাবাদ[সম্পাদনা]

  • 7 বহরমপুর — ওলন্দাজ, ফরাসি, মুঘল ও পর্তুগিজ স্থাপত্যের নিদর্শন ও প্রত্নক্ষেত্র সমৃদ্ধ একটি পরিখাবেষ্টিত ব্রিটিশ ক্যান্টনমেন্ট।

প্রবেশ[সম্পাদনা]

রেলপথে[সম্পাদনা]

ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরের রেলওয়ে স্টেশনে (আজিমগঞ্জ, নবদ্বীপ) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন আসে। পূর্ব তীরের রেলওয়ে স্টেশনে কেবল কলকাতা থেকে ট্রেন আসে।

গাড়িতে[সম্পাদনা]

এনএইচ ১২ মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার উপর উত্তর-দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত এবং কলকাতা বা উত্তরবঙ্গ থেকে এই অঞ্চলে আসার পক্ষে এটি সবচেয়ে ভাল উপায়। এই সড়কটি মূলত রানাঘাট, কৃষ্ণনগরবহরমপুর দিয়ে যায়। নবদ্বীপ হয়ে এই অঞ্চলে আসার আরেকটা পথ হচ্ছে এসএইচ ৬, যা এসটিকেকে রোড নামেও পরিচিত।

দেখুন ও করুন[সম্পাদনা]

এই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারী প্রাসাদ, ঐতিহাসিক পলাশীমায়াপুরের শ্রী মায়া চন্দ্রোদয় মন্দির। এছাড়া আপনি ভাগীরথী নদী বরাবর নৌকাবিহার করতে পারেন।

আহার ও পানীয়[সম্পাদনা]

নিরাপদে থাকুন[সম্পাদনা]

এখনকার মাটির জল পানের পক্ষে উপযুক্ত নয়, কারণ এতে আর্সেনিক, ফ্লোরাইড বা উভয় থাকতে পারে। সুতরাং নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের যেকোনো জায়গায় আপনি যথাসম্ভব পৌরসভা বা পঞ্চায়েতের জল কিংবা কোনো নামকরা কোম্পানির (বিসলেরি, কিনলে) বোতলের জল ব্যবহার করুন, কোনো সাধারণ কোম্পানির নয়, যদিও ঐ কোম্পানির জলের খরচ ₹২ প্রতি লিটার কম।